আমার কিশোরীকন্যাকে নিয়ে আমি বেরোচ্ছি। মা, ওঠো, ভোর হচ্ছে, নতুন বছরের
নতুন দিনের ভোর। শাড়ি পরো। চলো, বেরিয়ে পড়ি। আমার দুহিতা উঠল, অনভ্যস্তভাবে
শাড়ি পরল, সুতির শাড়ি ফুলে রইল তার শরীরটাজুড়ে। মাথায় ফুল জড়াল, চোখে-মুখে
হাসি। হয়তো ওর মা-ও সঙ্গে রইলেন, মেয়ের শাড়িতে সেফটিপিন জুড়ে দিলেন, মেয়ে
মেঝেতে বসে মায়ের শাড়ি টেনে দিল। তারপর আমরা হাসিমুখে চললাম রমনার দিকে,
টিএসসির দিকে। ‘এসো হে বৈশাখ’ গাইতে লাগলাম নিজেরাই, বেসুরো গলায়। কিংবা
গাইলাম শিরোনামহীন ব্যান্ডেরই গান, ‘প্রতিটি রাস্তায় প্রতিটি জানালায়
হাসিমুখ, হাসিমুখে আনন্দধারা...’
তারপর পড়ে গেলাম ভিড়ের মধ্যে, পরিকল্পিত ভিড়, একদল শিয়াল হামলে পড়ল, ছিঁড়ে গেল শাড়ি, কাপড়ের অংশ গেঁথে রইল সব নখরে নখরে...
আমি আর কল্পনা করতে পারছি না। পুরুষ, কবে তুমি মানুষ হবে, বাঙালি কবে তুমি সভ্য হবে?